সিলেটের সুরমা নদীর অন্যতম উপশাখা কুশি নদী। কুইগাঙ বা কুশিগাঙ নামে নদীটি বেশি পরিচিত। সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর এলাকার হাওর থেকে প্রবাহিত পাবিজুড়ি, কাফনা ও করিস নদীর সমন্বিত অংশ থেকে সৃষ্টি হয়েছে ‘কুশি নদী’। বিভিন্ন হাওর-বিল হয়ে ৩৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নদীটি মিলিত হয়েছে সিলেট নগরের সুরমা নদীর কুশিঘাট এলাকায়। সিলেটের সুরমা নদীর সঙ্গে জৈন্তাপুরের সারি নদীর একমাত্র সংযোগ নদী কুশিগাঙ। মোগল আমলে উত্তর-পূর্ব সিলেটের পাহাড়ি জনপদে চলাচল ও বাণিজ্যের একমাত্র যোগাযোগমাধ্যম ছিল কুশিগাঙের নদীপথ। স্থানীয় কৃষি ও পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নদীটি আশপাশের অঞ্চলে পানিপ্রবাহ ও প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখতে পানির চাহিদা পূরণ করে এলেও এখন নিজেই ধুঁকে ধুঁকে মরছে নদীটি। হারিয়েছে গতিপথ, ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদীর বিভিন্ন স্থান। বর্ষাকালে পানিতে টইটম্বুর থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে নদীটি যেন মৃত খাল। এ সময়ে নদীর দুই পাশে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই সবজি চাষ করেন। নদীর বুকে পড়ে থাকে মাছ ধরার নৌকা। খননের উদ্যোগ নিলে প্রাণ ফিরে পাবে নদীটি।